েই হারানো শৈশব, স্বপ্নিল কিশোরবেলা, মা হারা কিশোর তো সেই হারানো স্বপ্ন খুঁজতেই শৈশবে ফিরে যাই বার বার। ও চাঁদমুখী মা, তুমি শুধু একবার ফিরে এসো; এই অলঙ্ঘ্য বিষাদ সরিয়ে দু’হাতে আজ একটুখানি জ্যোৎস্না মেখে দাও। মা হারা এমনি শৈশবে মাতৃত্বের কোমল পরশের অভাববোধ যাদের জীবন জুড়ে তারা তো মাতৃত্বের স্নেহ মাখা আঁচল তলে শুভ্রতার ছায়া খুঁজবেই। ঠিক এমনি এতিমদের পূনর্বাসন, সুরক্ষা, মাতৃত্বের স্নিগ্ধ পরশ, সর্বোপরি আলোকিত মানুষ হিসেবে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজ সেবক মরহুম শেখ আকিজ উদ্দিনের অনুপ্রেরণায় এবং খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ মরহুম অধ্যাপক শরীফ হোসেনের উদ্যোগে ১৯৮০ সালে আদ্-দ্বীন নামক সোনার তরী তার শুভ যাত্রা শুরু করে। যাত্রার শুরুতে ক্ষুদ্রঋণকে প্রাধান্য না দিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে জনকল্যাণমূলক কাজের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে। দীর্ঘদিন সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পর ১৯৮৯ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ১৯৯০ সালে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, ১৯৯৪ সালে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং ২০০৮ সালে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএ) এর উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়। ১৯৮৯ সাল থেকে আদ্-দ্বীন অতিদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, সাধারণ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং আয়বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমে সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক পর্যায়ের মহিলাদের সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে ইসলামী শরীয়াহ্ মোতাবেক পরিচালিত “কমিউনিটি হেলথ্ এ্যান্ড মাইক্রোফাইনান্স” কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কর্মসূচিকে সার্বজনীনভাবে মানুষের দ্বার প্রান্তে পৌছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। বর্তমানে আদ্- দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার “কমিউনিটি হেলথ্ এ্যান্ড মাইক্রোফাইনান্স” কার্যক্রমের অধীনস্ত ১৪৫ টি শাখা অফিসের মাধ্যমে ১৮০০ জন দক্ষ জনবলের সমন্বয়ে ১৪ টি জেলার ৩ লক্ষাধিক প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আদ্-দ্বীন বিশ্বাস করে উন্নয়ন কোন গন্তব্য নয় বরং একটি অগ্রযাত্রা মাত্র। আদ্-দ্বীনের লক্ষ্য, প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করার সাথে সাথে টেকসই উন্নয়নের ধারা চলমান রাখতে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আর্থ-সামাজিক ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আদ্-দ্বীন তার জন্মলগ্ন থেকে বিভিন্ন প্রকার সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনায় সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সর্বজন স্বীকৃত মানবিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এতিম শিশুদের পূণর্বাসন, বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান, সমাজের পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত ও আশ্রয়হীন ব্যক্তিদের মাঝে বিনামূল্যে আবাসন সুবিধা প্রদান, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে আদ্-দ্বীনের সদস্যদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা প্রণয়ন, আদ্-দ্বীনের কর্মএলাকার গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে “কমিউনিটি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস” ২৪ ঘন্টার জন্য প্রস্তুত রাখা, দুঃস্থ ও প্রান্তিক পর্যায়ের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানাবিধ সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে আদ্-দ্বীন তার জম্মলগ্ন থেকে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে আসছে। এ দেশের সিংহভাগ মানুষ ন্যূনতম মৌলিক অধিকার থেকে এখনও বঞ্চিত। বিশেষ করে অসচেতনতা, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা, ব্যয়বহুল স্বাস্থ্যসেবা, সহজে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার জটিলতা এবং অনুকূল পরিবেশের অভাব এদেশের মানুষের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অন্যতম কারণ। এই প্রেক্ষাপটে সবার সাধ্যের মধ্যে মানসম্মত, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন কর্তৃক ঢাকা, খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৪ হসপিটাল। স্বল্প ব্যয়ে দক্ষ চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে যশোর, ঢাকা, কেরানীগঞ্জ ও খুলনায় গড়ে তোলা হয়েছে ৪ টি মেডিকেল কলেজ হসপিটাল। স্বল্প খরচে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা প্রদানের পাশাপাশি ন্যূনতম ব্যয়ে রেজিস্টার্ড নার্স, মিডওয়াইফ, মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট তৈরির লক্ষ্যে ৩ টি নার্সিং ইনস্টিটিউট, ১ টি মিড-ওয়াইফারী ইনস্টিটিউট, ১ টি মহিলা মেডিকেল টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, ১টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিঃ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যশোরে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আদ্-দ্বীন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১০০-১২০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা, ধাত্রীবিদ্যা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, জেন্ডার ইস্যু, অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজ এবং আয়বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ১৯৯৭ সালে যশোর বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় আদ্-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যালস্-এর কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে আদ্-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডের ৪৩টি ঔষধ দেশের ৩১টি জেলায় বাজারজাত হচ্ছে। সংস্থাটির ১ টি অফসেট প্রিন্টিং প্রেস এবং ১টি হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ ও উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। উক্ত কেন্দ্রের মাধ্যমে “কমিউনিটি হেলথ্ এ্যান্ড মাইক্রোফাইনান্স” কর্মসূচির আওতায় সমিতিভুক্ত নারী সদস্যদের উৎপাদনমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করানোর মাধ্যমে নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং উৎপাদিত পণ্যের বাজার সৃষ্টি করা এ কার্যক্রমের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কর্মএলাকার অসহায়, দরিদ্র, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীদেরকে দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের নকশী কাঁথা, বিছানা চাঁদর, শাড়ি, থ্রি-পিচ, পাঞ্জাবী, ফতুয়া ও মেয়েদের হাত ব্যাগ ইত্যাদি সামগ্রী তৈরি করে। তৈরিকৃত সকল পণ্য ঢাকা আদ্-দ্বীন হাসপাতাল সংলগ্ন “উপমা” শো-রুমে বিক্রয় করা হয়। • আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার এতিমদের পূনর্বাসন, সুরক্ষা, মাতৃত্বের স্নিগ্ধ পরশ এবং সর্বোপরি আলোকিত মানুষ হিসেবে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজ সেবক মরহুম শেখ আকিজ উদ্দিনের অনুপ্রেরণায় এবং খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ মরহুম অধ্যাপক শরীফ হোসেনের উদ্যোগে ১৯৮০ সালে আদ্-দ্বীন তার শুভ যাত্রা শুরু করে। আদ্-দ্বীন অতিদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যশিক্ষা, সাধারণ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং আয়বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমে সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক পর্যায়ের মহিলাদের সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে ইসলামী শরীয়াহ্ মোতাবেক পরিচালিত “কমিউনিটি হেলথ্ এ্যান্ড মাইক্রোফাইনান্স” কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কর্মসূচিকে সার্বজনীনভাবে মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। বর্তমানে আদ্-দ্বীন ওয়েফেয়ার সেন্টারের “কমিউনিটি হেলথ্ এ্যান্ড মাইক্রোফাইনান্স” কার্যক্রমের অধীনস্ত ১৪৫ টি শাখা অফিসের মাধ্যমে ১৮০০ জন দক্ষ জনবলের সমন্বয়ে ১৬ টি জেলার ৩ লক্ষাধিক প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ দেশের সিংহভাগ মানুষ ন্যূনতম মৌলিক অধিকার থেকে আজও বঞ্চিত। বিশেষ করে অসচেতনতা, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা, ব্যয়বহুল স্বাস্থ্যসেবা, সহজে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার জটিলতা এবং অনুকূল পরিবেশের অভাব এদেশের মানুষের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অন্যতম কারণ। এই প্রেক্ষাপটে সবার সাধ্যের মধ্যে মানসম্মত, সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ ও দক্ষ চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন ঢাকা, খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলা সদরে প্রতিষ্ঠা করেছে ৪ টি মেডিকেল কলেজ । স্বল্প খরচে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা প্রদানের পাশাপাশি আদ্-দ্বীন ন্যূনতম ব্যয়ে রেজিস্টার্ড নার্স, মিডওয়াইফ, মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট এবং চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে ৩ টি নার্সিং ইনস্টিটিউট, ১ টি মিড ওয়াইফারী ইনস্টিটিউট, ১ টি মহিলা মেডিকেল টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, ১ টি মহিলা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জম্ম লগ্ন থেকে অদ্যবধি আদ্-দ্বীন মানবতার সেবায় অতন্ত্রপ্রহরী রুপে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে চলেছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আদ-দ্বীন বিভিন্ন প্রকার সামাজিক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালনায় সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সর্বজন স্বীকৃত মানবিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এতিম শিশুদের পূণর্বাসন, বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান, সমাজের পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত ও আশ্রয়হীন ব্যক্তিদের মাঝে বিনামূল্যে আবাসন সুবিধা প্রদান, মানসম্মত স্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে ঋণ গ্রহীতাদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা প্রণয়ন, আদ্-দ্বীনের কর্মএলাকার গর্ভবতী মায়েদের নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত কল্পে “কমিউনিটি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস” ২৪ ঘন্টার জন্য প্রস্তুত রাখা, দুঃস্থ ও প্রান্তিক পর্যায়ের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানাবিধ সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে আদ্-দ্বীন তার জম্মলগ্ন থেকে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে আসছে। • ‡cÖvMÖvg mgynt  wewb‡qvM Kvh©µgt  গ্রামীন ও নগর ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কার্যক্রম (জাগরণ) আদ্-দ্বীনের ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কার্যক্রমের মধ্যে জাগরণ বিনিয়োগ কর্মসূচি সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত। গ্রামীণ ও নগরের দরিদ্র, অনগ্রসর, সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের নিয়ে সমিতি গঠনপূর্বক তাদেরকে আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে এই বিনিয়োগ প্রদান করা হয়। একজন নারী সদস্য পদ প্রাপ্তির ১০ দিন পর যথাযথ ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক আবেদনের প্রেক্ষিতে শাখা অফিস কর্তৃক যাচাই-বাছাই পূর্বক ৫,০০০-৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ডসমূহকে টেকসই এবং গতিশীলকরণের লক্ষ্যে প্রকল্প ভেদে এই বিনিয়োগ প্রদান করা হয়। ক্ষুদ্র শিল্প, ভ্যান-রিক্সা ক্রয় বা মেরামত, সাইকেল গ্যারেজ, ধান ছাঁটাই মেশিন ক্রয়, হস্ত-শিল্প, ধান, পাট, সবজি, মাছ চাষ, গাভী, ছাগল, হাঁস-মুরগী পালন, কাঠের ব্যবসা, মুদি ব্যবসা, মৌসুমি কৃষি ব্যবসা, নার্সারী, দর্জি কাজ ইত্যাদি আয়বৃদ্ধিমূলক প্রকল্পসমুহে জাগরণ বিনিয়োগ প্রদান করা হয়।  ক্ষুদ্র উদ্যোগ বিনিয়োগ কর্মসূচি (অগ্রসর) জাগরণ বিনিয়োগ গ্রহণের পর যারা স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং যারা তাদের প্রকল্পটিকে আরও সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধশালী অবস্থানে উন্নীত করতে চান তারা আদ্-দ্বীন থেকে এ প্রকল্পের আওতায় ৬০,০০০ থেকে ১০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ গ্রহণ করতে পারেন। পোল্ট্রি ফার্ম, ডেইরি ফার্ম, মৎস্য হ্যাচারি, কোয়েল পাখি চাষ, ক্ষুদ্র শিল্প, কুঠির শিল্প, বড় মুদি ব্যবসা, রাখি মালের ব্যবসা, ফুল ব্যবসা, মাছ চাষ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিভিন্ন প্রকার মোটর গাড়ি ক্রয়, কাপড়ের ব্যবসা, রড-সিমেন্ট ব্যবসা, ভাড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি তৈরি সহ বিভিন্ন প্রকার আয়বৃদ্ধিমূলক প্রকল্পে এই বিনিয়োগ প্রদান করা হয়।  অতি দরিদ্রদের জন্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কর্মসূচি (বুনিয়াদ) সমাজের পিছিয়ে পড়া অতিদরিদ্র মানুষগুলোর আর্থ-সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে বুনিয়াদ বিনিয়োগ প্রদান করা হয়। যাদের জমির পরিমান ১০ শতাংশের নিচে, দৈনন্দিন আয় ১ ডলারের কম এবং বছরের কোন একটি সময়ে তীব্র খাদ্র সংকটে পতিত হয় এমন জনগোষ্ঠীর নারীরা বুনিয়াদ বিনিয়োগ প্রকল্পের সদস্য হতে পারে। এ প্রকল্পের সদস্যরা ৫,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। এ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৪৪ টি সমান কিস্তি এবং ২০% ক্রমহ্রাসমান মুনাফা প্রযোজ্য।  কৃষি ভিত্তিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কার্যক্রম (সুফলন) কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, মহাজনী ঋণ নেওয়া থেকে বিরত রাখা, বাকীতে অধিক মূল্যে কৃষি উপকরণ ক্রয় রহিতকরণের উদ্দেশ্যেই মূলত সুফলন এবং মৌসুমি বিনিয়োগ দেওয়া হয়। এই বিনিয়োগ ৩ মাস থেকে ১০ মাস মেয়াদি প্রদান করা হয়। মৌসুমি বিনিয়োগ মূলত ঈদ, শীত এবং পূজা মৌসুমে ব্যবসী শ্রেণীর মাঝে প্রদান করা হয়। সুফলন বিনিয়োগ বিভিন্ন মৌসুম ভিত্তিক বিতরণ করা হয় যেমন- ধান চাষ, পাট চাষ, সবজি চাষ, মাছ চাষ, গরু মোটাতাজাকরণ ইত্যাদি। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সদস্যকে মুনাফাসহ গ্রহণকৃত বিনিয়োগ এককালীন পরিশোধ করতে হয়।  আবাসন প্রকল্প বাংলাদেশের সকল শহর ও গ্রামাঞ্চলের অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত আবাসনের অভাব। দেশের মাত্র ২৮ শতাংশ খানা পাকা গৃহে বসবাস করে, প্রায় ৪৩ শতাংশ খানা অস্থায়ী এবং ২৯ শতাংশ খানা আংশিক পাকা গৃহে বসবাস করে। সার্বিকভাবে বিভিন্ন লক্ষ্যনীয় প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নিম্ন বা মধ্য আয়ের জনগোষ্ঠীর গৃহায়নের ক্ষেত্রে প্রকৃত চাহিদা ও যোগানের বড় ধরনের ঘাটতি বিদ্যমান রয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্য বিমোচনের লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পিকেএসএফ প্রতিষ্ঠার পর হতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি দেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক কর্মসূচী পরিচালনা করে আসছে। মানুষকে কেন্দ্র করে মানব উন্নয়ন এবং মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই পিকেএসএফ তার সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে সকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এ প্রেক্ষিতে, পিকেএসএফ তার সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে অন্যান্য বিনিয়োগ কার্যক্রমের মত মাঠ পর্যায়ে আবাসন বিনিয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার পিকেএসএফ ও বিশ্বব্যাংক-এর আর্থিক সহযোগিতায় যথাক্রমে ২০১৭ এবং ২০১৯ সাল থেকে আবাসন LICHSP (Low Income Community Housing Support Project) এবং আবাসন (পিকেএসএফ) কর্মসূচির কাজ সফলতার সাথে সুসম্পন্ন করছে।  কর্জে হাসনা কোন দরিদ্র সদস্যের হঠাৎ কোন আকস্মিক দূর্ঘটনাজনিত কারণে আর্থিক বা শারীরিক মারাতœক ক্ষতি হলে এবং উক্ত সদস্যের এক বা একাধিক বিনিয়োগ সংস্থার নিকট পাওনা থাকার কারণে উক্ত সদস্য তাৎক্ষণিক সেই ক্ষতি সামলিয়ে উঠতে না পারলে বা ঋণ গ্রহণকারী সদস্যের সন্তানের এসএসসি/এইচএসসি/স্নাতক/স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষার ফিস প্রদান বা গ্রহীতা বা তার পরিবারের সদস্যের জরুরী চিকিৎসা সহায়তা, কন্যা সন্তান বিবাহ, জরুরী বাসস্থান মেরামতের জন্য উক্ত সদস্যকে ১-৬ মাস মেয়াদী ১০০০-১০,০০০ টাকা পর্যন্ত কর্জে হাসনা প্রদান করা হয়। এ বিনিয়োগে গ্রহীতাকে কোন প্রকার সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হয় না।  ¯^v¯’¨ †mev Kvh©µgt  মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি যশোর সদর থানার বলরামপুর গ্রামে ১৯৮৯ সালে স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র স্থাপন করে মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি শুরু করা হয়। ১৯৯০ সালে যশোর সদর উপজেলার ২ টি ইউনিয়ন এবং ঝিকরগাছা উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নে, ১৯৯১ সালের জুন মাসে মনিরামপুর উপজেলা এবং ১৯৯৯ সালে শার্শা, যশোর সদর, বাঘারপাড়া ও কেশবপুর উপজেলায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ আদ্Ñদ্বীনকে অনুমতি প্রদান করে। ২০০৬ সাল থেকে যশোর, মাগুরা,নড়াইল,সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ও খুলনা এবং ২০০৭ সাল থেকে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত আদ্-দ্বীনের সকল শাখার কর্মএলাকায় শুধুমাএ স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে সংস্থার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্যারামেডিকরা মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা দিচ্ছেন। বর্তমানে সংস্থার কর্ম এলাকায় প্রতিমাসে ১৯৮০ টি স্যাটেলাইট ক্লিনিক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার মাধ্যমে মাসে ৯,৯০০ জন গর্ভবতী, ৫,৯৪০ জন্য প্রসূতী মা, ১৭,৮২০ জন শিশু ও ১৫,০০০ জন সাধারণ রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে যাচ্ছে।  স্যাটেলাইট ক্লিনিকের সেবাসমুহ • দলীয় স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি সহ আধুনিক ও মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা। • স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের দোর গোড়ায় মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়া। • গর্ভকালীন সেবা নিশ্চিত করা এবং নিরাপদ ডেলিভারী নিশ্চিত কল্পে পরামর্শ প্রদান করা। • সন্তান প্রসব পরবর্তী প্রসূতি মায়ের সেবা নিশ্চিত করা এবং বাচ্চার জন্য যথাযথ পুষ্টিশিক্ষা দেওয়া। • নবজাতকের পরিচর্যা এবং ০-২৩ মাস বয়সী বাচ্চার গ্রোথ মনিটরিং নিশ্চিত করা। • মহিলা ও শিশুদের সাধারণ রোগের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা। • ডায়বেটিক, প্রেগনেন্সি এবং এ্যালবুমিন ও সুগারের মাত্রা নির্ণয় করা। • পরিকল্পিত পরিবার গঠনে সহায়তা করা। • শতভাগ ইপিআই কার্যক্রম নিশ্চিত করা। • গুরুতর অসুস্থ রোগীদের উপযুক্ত স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে প্রেরণের ব্যবস্থা করা।  সদস্যদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, দারিদ্রতা এবং অসচেতনতার কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের অসংখ্য মানুষ মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মা ও শিশু মৃত্যু হার কমানো এবং মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষে আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার তার বিনিয়োগ গ্রহীতাদের জন্য চিকিৎসা সুবিধার আওতায় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এ সুবিধা প্রাপ্তির জন্য সদস্যদেরকে কল্যাণের টাকা ছাড়া কোন প্রকার প্রিমিয়াম প্রদান করতে হয় না। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে চিকিৎসা সুবিধার আওতায় ৯০৯৬ জন রোগী আদ্-দ্বীন হাসপাতাল থেকে সেবা গ্রহণ পূর্বক ৬৭.৮২ লক্ষ টাকার নগদ আর্থিক সুবিধা ভোগ করেছেন। বিনিয়োগ গ্রহীতা নিজে, স্বামী, অবিবাহিত ছেলে/মেয়ে, এবং শ্বশুর, শাশুড়ি এ সেবার আওতাভুক্ত। একজন বিনিয়োগ গ্রহীতা সমিতিতে সদস্য পদ প্রাপ্তির বয়স ও দুরত্ব ভেদে হাসপাতালে পরিশোধিত সেবা মূল্যের ৩০-৭৫ শতাংশ নগদ টাকা তার আওতাধীন শাখা অফিস থেকে গ্রহন করতে পারেন।  বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন নড়াইল ও ঝিনাইদহ জেলায় ভ্রাম্যমান ও স্থায়ী ক্লিনিকের মাধ্যমে আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার ২০০৩ সালের জুলাই মাস থেকে ভ্রাম্যমান চক্ষু সেবা প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে খুলনা বিভাগের সবগুলো জেলাতেই বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন কার্যক্রম চালু রয়েছে। আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার ও আদ্-দ্বীন চক্ষু হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে উক্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের কর্মএলাকা থেকে ছানি বাছাই ক্যাম্পের মাধ্যমে ছানি রোগী বাছাই পূর্বক আদ্-দ্বীন ভ্রাম্যমান চক্ষু অপারেশন থিয়েটারে ছানি অপারেশন করা হয়। ভ্রাম্যমান চক্ষু অপারেশন থিয়েটার ছাড়াও সনাক্তকৃত রোগীদেরকে যশোরে অবস্থিত আদ্-দ্বীন চক্ষু হাসপাতালের স্থায়ী অপারেশন থিয়েটারে ছানি অপারেশন করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠিত চক্ষু শিবিরে ভ্রাম্যমাণ চক্ষু ইউনিটের মাধ্যমে কম্পিউটারে চক্ষু পরীক্ষা, চশমা সরবরাহ এবং চোখের অন্যান্য সমস্যার ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা হয়। ডিসেম্বর/২০১৯ পর্যন্ত উক্ত প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে ৬৫,০০০ ছানি রোগী অপারেশন করা হয়েছে।  ফিস্টুলা কেয়ার প্রজেক্ট মাতৃত্বের এক অভিশাপের নাম ফিস্টুলা। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রতিদিন গড়ে প্রসবজনিত কারণে মারা যান ১৪ জন নারী। আর এই ১৪ জন নারীর মধ্যে শতকরা ৮ ভাগ নারীর মৃত্যু হয় বাধাগ্রস্ত বা বিলম্বিত প্রসবের কারণে। এই বাধাগ্রস্ত বা বিলম্বিত প্রসবের কারণেই বেশির ভাগ নারী ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। অন্য দিকে নারীর অপুষ্টি, অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ, অপ্রশিক্ষিত দাইয়ের হাতে বাড়িতে সন্তান প্রসব এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব ফিস্টুলা রোগের অন্যতম কারণ। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলিতে সাধারণত ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। ফিস্টুলা রোগীর সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে তারা সামাজিক ও পারিবারিকভাবে অবহেলা ও অবমাননার শিকার হন।এই অমানবিত পরিস্থিতি তাদের জীবনকে আর দূর্বিসহ করে তোলে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণের মতে, এই সমস্যা সমাধানে দুটি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, ইতোমধ্যে যারা ফিস্টুলায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। যদি সারিয়ে তোলা সম্ভব না হয় তাহলে পূণর্বাসনের মাধ্যমে সমাজের সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। এ প্রেক্ষিতে এনজেন্ডারহেলথ্ বাংলাদেশ এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় প্রসবজনিত ফিস্টুলা প্রতিরোধ, ফিস্টুলা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং পূণর্বাসনের লক্ষ্যে আদ্-দ্বীন ২০০৭ সাল থেকে ফিস্টুলা কেয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।  কমিউনিটি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের নানাবিধ উন্নয়নের ফলে এ দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭১.২ বছর। এতদাসত্বেও বাংলাদেশ ম্যাটার্নাল মর্টালিটি সার্ভের তথ্য মতে, মাতৃত্ব জনিত কারণে মৃত্যুর মধ্যে ৭ শতাংশ মারা যায় দীর্ঘ প্রসব জটিলতায়, ২০ শতাংশ মারা যায় একলাম্পশিয়ার কারণে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় ৩১ শতাংশ এবং গর্ভপাত জনিত সমস্যার কারণে মারা যায় ১ শতাংশ (বাংলাদেশ ম্যাটার্নাল মর্টালিটি সার্ভে-২০১০)। দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের অন্যতম মূলভিত্তি হলো নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা কিন্তু দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র আমাদের দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জীবন যাত্রাকে আষ্টে-পৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে, যার ফলশ্রæতিতে জনগোষ্ঠীর সিংহভাগ মানুষ ন্যূনতম মৌলিক অধিকার থেকে এখনও বঞ্চিত। একই সাথে জনগণের অসচেতনতা, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা, ব্যয়বহুল স্বাস্থ্যসেবা এবং অনুকূল পরিবেশের অভাবে “নিরাপদ মাতৃত্ব” শব্দটি এখনও অমাদের কাছে এক ভয়ঙ্কার অভিজ্ঞতার নাম। এ প্রেক্ষিতে “নিরাপদ মাতৃত্বের সেবায় আদ্- দ্বীন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার তার “সমন্বিত স্বাস্থ্য ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগ” কার্যসূচির আওতায় পরিচালিত ১২ টি শাখা অফিসে ১২ টি এ্যামবুলেন্স প্রদানের মাধ্যমে উক্ত কর্মএলাকার মানুষের নিরাপদ মাতৃত্ব ও অন্যান্য জরুরী সেবা প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের দ্বার প্রান্তে পৌছে দিতে ১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সাল থেকে “কমিউনিটি এ্যামবুলেন্স সার্ভিস” নামে সেবা চালু রেখেছে। আদ্-দ্বীনের কর্ম এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চল বিশেষ করে যেসকল এলাকায় গর্ভবতী মায়েদের উপযুক্ত স্বাস্থ্য সেবার যথেষ্ট অপ্রতুলতা রয়েছে সেই সকল অঞ্চলের গর্ভবতী মায়েদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতকল্পে ১২টি এ্যাম্বুলেন্সের সমন্বয়ে বিনা মূল্যে “কমিউনিটি এ্যামবুলেন্স সার্ভিস” ২৪ ঘন্টা চালু রাখা হয়েছে। আদ-দ্বীনের ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কর্মসূচির আন্তর্ভূক্ত নয় এমন গর্ভবতী মায়েদের জন্য রাত ৮.০০ ঘটিকা থেকে সকাল ৬.০০ ঘটিকা পর্যন্ত বিনা মূল্যে এ্যামবুলেন্স সেবা অব্যাহত রয়েছে। অন্যন্য রোগী পরিবহনের জন্য কিলোমিটার প্রতি ২৫ টাকা ভাড়া প্রদান সাপেক্ষে এ্যামবুলেন্স সেবা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।  mvgvwRK Kvh©µgt  আদ্-দ্বীন শিশু কিশোর নিকেতন দরিদ্র ও অসহায় শিশুদের বিশেষ করে যারা প্রকৃত মেধাবী এবং অভিভাবকহীন তাদের পূনর্বাসন এবং আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম জেলা যশোরের শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজ সেবক মরহুম শেখ আকিজ উদ্দিনের অনুপ্রেরণায় এবং খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ মরহুম অধ্যাপক শরীফ হোসেনের উদ্যোগে আদ্-দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে আদ্-দ্বীন শিশুÑকিশোর নিকেতন কেন্দ্রটি ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণে যশোর বেনাপোল মহাসড়কের পাশে নিজস্ব জমিতে স্থানান্তর করা হয়। কমিউনিটি হেল্থ এ্যান্ড মাইক্রোফাইনান্স এর কর্মএলাকার অতিদরিদ্র পরিবারের মেধাবী ও এতিম শিশুদের বাছাই পূর্বক তাদের সু-রক্ষা ও আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উক্ত শিশুÑকিশোর নিকেতন কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় এবং সেই সাথে প্রাইমারী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। নিকেতনের ছাত্রদের লালনপালন তথা খাদ্য, বস্ত্র, আবাসন, চিকিৎসা ও শিক্ষাসহ সকল ব্যয়ভার আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার বহন করে। নিকেতনে ছাত্রদের সুষ্ঠু তত্বাবধানের জন্য সার্বক্ষণিক ৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। যারা যুগোপযুগি ও আধুনিক পদ্ধতিতে ছাত্রদের আরবী, বাংলা ও ইংরেজি সহ সমসাময়িক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার শিক্ষা দিয়ে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সহায়তা করছে। বর্তমানে ৮-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত মোট ৩৩ জন অসহায় এতিম শিশুর এখানে লেখাপড়া করছে।  আদ্-দ্বীন হিফজুল কোরআন শিক্ষা কর্মসূচি ক্ষুদ্র বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের প্রচেষ্টায় সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্কের বন্ধনে জড়িয়ে আছে আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের “কমিউনিটি হেলথ্ এ্যান্ড মাইক্রোফাইনান্স” কার্যক্রম। আদ্-দ্বীন বিশ্বাস করে যে কোন বিপ্লবই সর্বপ্রথম পরিবর্তন আনে মানুষের চেতনার রাজ্যে। আর তাতেই পাল্টে যায় মানুষের ধ্যান-ধারণা ও চিন্তান জগত। চেতনার মানচিত্রে সেই বিপ্লবটি না এলে চারিত্রিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিপ্লব অসম্ভব। বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কার্যক্রম, প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের স্বপ্লমূল্যে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে হাসপাতাল স্থাপন, বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন, অসহায় জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য সহায়তাসহ নানাবিধ সামাজিক কর্মকান্ড সফলভাবে পরিচালনার মাধ্যমে আদ্-দ্বীন বর্তমান সময়ে সর্বজন স্বীকৃত মানব কল্যাণে নিয়োজিত মানবিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া “কমিউনিটি হেলথ্ এ্যান্ড মাইক্রোফাইনান্স” এর সকল প্রকার ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কার্যক্রমকে সুদভিত্তিক লেনদেনের আওতামুক্তকরণের লক্ষ্যে ইসলামী শরীয়াহ্ (বাইমোয়াজ্জেল) মোতাবেক ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া শতভাগ সফলতার সাথে বাস্তবায়নে আদ্-দ্বীন বদ্ধপরিকর। এতদাসত্ত্বেও আদ্-দ্বীন মনে করে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নই মানব মুক্তির একমাত্র পথ নয় বরং ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ একটি সমাজ সৃষ্টি না করতে পারলে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সেটি নিশ্চিত সামাজিক অবক্ষয়ের নামান্তর। এ প্রেক্ষিতে যশোর জেলার নাভারণ অবস্থিত আকিজ কলিজিয়েট স্কুল এ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে ২০১৬ সালে গড়ে তোলা হয়েছে হিজবুল ফুরকানিয়া কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র। এখানে সহশিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের কোরআন এর হাফেজ তৈরিতে শিক্ষা প্রদান করা হয়। বর্তমানে এই শিক্ষাকেন্দ্রে ৩৩ জন শিক্ষার্থী এবং ২ জন শিক্ষক রয়েছেন। কোরআন এর আলোকে আলোকিত মানুষ সৃষ্টি এবং ধর্মীয়মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ সমাজ গঠনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে আদ্-দ্বীন পরিবার এই শিক্ষাকেন্দ্রের সার্বিক দায়-দায়িত্ব বহন করে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এক অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করে চলেছে।  ত্রাণ কার্যক্রম ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন কিংবা চাকুরী জীবনের কোনটিতেই আমরা যে কেউ পুরোপুরি সফল কিংবা সুখী এ কথা বলার কিংবা মেনে নেওয়ার মানুষ আজকের সমাজে খুব কম আছে । এই সফলতা, ব্যর্থতা কিংবা অসুখী জীবন যাপনের মাঝে কিছু কিছু কাজ হোক সেটি ব্যক্তিগত কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক আমাদের অপ্রাপ্তির জায়গাটিকে প্রাপ্তির ডালিতে কানায় কানায় ভরে দেয়। কখনো ঘূর্নীঝড়, কখনো বন্যা, কখনো বা খরা, আবার কখনো প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহ দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের স্বাভাবিক জীবন উলোট-পালট করে দেয়। হঠাৎ করেই মানুষ হারিয়ে ফেলে তার আপন বাসস্থান, তার খাদ্যের যোগান, শীত নিবারণের বস্ত্র। কোন কোন সময় প্রাণহানীর মত ঘটনাও ঘটে যায়। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে একটু সহযোগিতা করতে আদ্-দ্বীন সব সময় প্রস্তুত থাকে। কখনো এমন মানুষদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে, কখনো প্রচন্ড শীতে লেপ তৈরী করে দিয়ে, কখনো ঘর নির্মান বা মেরামত করে দিয়ে, কখনো বা জরুরী চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাদের পাশে থাকতে চায়। ২০১৮- ২০১৯ অর্থ বছরে আদ্-দ্বীন তার ১৪৫ টি শাখার কর্ম এলাকায় বসবাসকারী এমন ৪০০০ জন দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের খুঁজে বের করা হয়েছে যাদের শীতের তীব্রতায় উষ্ণতা দেওয়ার মতো শীত বস্ত্রের নূন্যতম বন্দোবস্ত নেই। এদের প্রত্যেকের একটি করে বড় লেপ কভারসহ তৈরী করে বিতরণ করা হয়েছে।  বিনামূল্যে আবাসন সুবিধা সমাজে এখনও অনেক মানুষ আছে যাদের মাথার উপর ছায়া দেওয়ার মতো চাল নেই। আদ্-দ্বীন তার কর্ম এলাকা থেকে খুঁজে বের করেছে সেই সকল অসহায় ও আশ্রয়হীন মানুষ যাদের মাথা গুজার ঠাঁই নেই, রাতের নির্জনতায় যাদের দু’চোখে নিশাতিক্রম ঘুমের পরিবর্তে শুধুই নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্ক। আদ্-দ্বীন শুধু তাদের জন্য মাত্র ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা আর্থিক অনুদান প্রদানের মাধ্যমে একটি ছোট্ট ঘর তৈরি করে দিচ্ছে। আদ্- দ্বীনের নির্বাহী পরিচালকের ব্যক্তিগত তহবিল ও সংস্থার ক্ষুদ্রবিনিয়োগ কার্যক্রমের উদ্বৃত্ত থেকে এ কার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি বছর সংস্থার কর্ম এলাকায় বসবাসকারী ১০০ জন অসহায় ও আশ্রয়হীনকে একটি করে বাড়ি তৈরী করে দেয়া হয়।  অসহায় ব্যক্তিদের জন্য খাদ্য সহায়তা আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার পিকেএসএফ সহ অন্যান্য দাতা সংস্থার সহযোগিতায় দেশের ১৪ টি জেলায় ১৪৫ টি শাখার মাধ্যমে কমিউনিটি হেলথ্্ এন্ড মাইক্রোফাইনান্স কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আদ্-দ্বীন মনে করে অবহেলিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক অবস্থার টেকসই উন্নয়নের জন্য শুধু ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কর্মসূচি যথেষ্ট নয় বরং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অন্যান্য সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড অনস¦ীকার্য। কালের পরিক্রমায় উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অনুপস্থিতির কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জীবন যাত্রার মানের টেকসই উন্নয়ন হয়নি। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার মানবিক এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে খাদ্য সহায়তা প্রকল্প চালু করেছে। সমাজে এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা কর্মক্ষমতা হারিয়ে উপার্জনহীন কিংবা অসু¯ ’অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই অসহায় মানুষগুলোর অনেকের প্রিয়জন আছেন আবার অনেকের নেই। যাদের প্রিয় জন আছেন তারাও হইতবা নামে মাত্র প্রিয় জন অথবা দারিদ্রতার কষাঘাতে কাছের মানুষটির ভরণ-পোষন দিতে অক্ষম। আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার ১৪৫ টি শাখার মাধ্যমে উক্ত শাখাগুলোর কর্ম এলাকায় বসবাসকারী ৩৫০ জন অসহায় মানুষকে আজীবন খাদ্য সহায়তা প্রদান করে আসছে। প্রত্যেক শাখায় কর্মরত শাখা ব্যবস্থাপক প্রতি সপ্তাহের শনিবারে নিজ দায়িত্বে অসহায় ব্যক্তির বাড়ি খাবার পৌছে দিয়ে মানবতার সেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৩৫০ জনের খাদ্য সহায়তা প্রদান বাবদ ৪৫০০০০০ ( পয়তাল্লিশ লক্ষ) টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।  শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম শুধু দারিদ্রতার কারনে আমাদের দেশের মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের অনেকেই তাদের মেধার বিকাশ ঘটিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না। এতদাসত্বেও দেশের পিছিয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে উঠে আসা অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী নিজের একান্ত প্রচেষ্টায় বিভিন্ন পরীক্ষায় সফলতার সাথে প্রতিকূলতাকে জয় করে চলেছে। বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারের অনেক মেধাবী সন্তানেরা প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা এবং আর্থিক সক্ষমতার অভাবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল কারার পর ও মান সম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে লেখাপড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রকৃত তথ্যভিত্তিক শিক্ষা এবং পর্যাপ্ত কারিগরি জ্ঞান অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় মান সম্মত চাকুরি পাচ্ছেনা। ফলে দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা পিতা-মাতার কাঙ্খিত চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় পিতা-মাতা ও সন্তান উভয়ের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। এই ধারা থেকে পরিত্রানের উদ্দেশ্যে প্রকৃত মেধার বিকাশ ঘটিয়ে দরিদ্র পরিবারের প্রকৃত মেধাবীদের সুশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের “কমিউনিটি হেল্থ এ্যান্ড মাইক্রোফাইনান্স” কর্মসূচির অধীনস্ত ১৪৫ শাখার কর্মএলাকা থেকে প্রতি বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর আদ্-দ্বীনের সুবিধাভোগী সদস্যদের সন্তানদের মধ্য থেকে প্রকৃত মেধাবীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক পিকেএসএফ এবং আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২৯১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩১,২৪,০০০ টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

1 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post