গবাদি পশু পালন, রোগ নির্ণয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ণ মুলক কৃষক প্রশিক্ষন আয়োজনে: হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড, কালীগঞ্জ স্থান: অনুপমপুর মাদ্রাসা। তারিখ ২৪ নভেম্বও ২০২১ রিপোট:- ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গবাদি পশু পালন, রোগ নির্ণয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন কৃষি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড যৌথ ভাবে এই প্রশিক্ষনের আয়োজন করে। বুধবার দুপুর ১.৩০ মিনিটে কালীঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের অনুমপুর মাদ্রাসা প্রাাঙ্গনে এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: এ এসএম আতিকুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের প্রোগ্রাম অফিসার মো: শাহজাহান আলী, মিজানুর রহমান, কমিউনিটি অর্গানাইজার সরাফত হোসেন তুষার প্রমুখ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নিয়ামতপুর ইউনিয়নের অনুপমপুর গ্রাম থেকে ৭ জন, মস্তবাপুর গ্রাম থেকে ৮ জন. হরিগোবিন্দপুর গ্রাম থেকে ২ জন,আড়–য়াশলুয়া গ্রাম থেকে ৩জন, দাপনা গ্রাম থেকে ৫ জন, মল্লিকপুর গ্রাম থেকে ৩ জন মহেশ্বরচাদা থেকে ১জনসহ মোট ৩০জন কৃষক/কৃষানী অংশ নেন। প্রশিক্ষনের উদ্দেশ্য :্আমাদের কর্ম এলাকার তরুন উদ্যেক্তা কৃষকদের পশু পালন ,পশূর রোগ নির্ণয় ,ও ভ্রাক্সিনেশন ,আদর্শ গোয়ালঘর তেরী সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা প্রদান করা। প্রশিক্ষনের কোন ধরনের অংশগ্রহণকারী রাখা হয়েছে: তরুন উদ্দ্যোগতা ,যাদের প্রশিক্ষন নেওয়ার আগ্রহ আছে।কমপক্ষে বাড়িতে ১/২ টি গরু আছে। প্রশিক্ষকে কে? উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা এ এইচ এম আতিকুজ্জামান প্রশিক্ষণ ডিজাইন: দুপুর ১টায় সকল কৃষক উপস্থিত হয়ে। রেজিট্রেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ রুমে প্রবেশ করবেন। এর পর দুপুরের খাবার খাওয়া হয় এক সাথে। সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার শাহজাহান আলী বিপাশ প্রশক্ষনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা প্রদান করে। দুপুর ২টা থেকে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা এ এইচ এম আতিকুজ্জামান গবাদি পশু পালন ,পশূর রোগ নির্ণয় ,ও ভ্রাক্সিনেশন আদর্শ গোয়ালঘর তেরী সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা প্রদান করবেন। ৪.২০মিনিটে সকল কৃষকদের প্রশিক্ষনের তারা কি বুঝলো সে বিষয়ে সাখাৎকার নেওয়া হবে। । সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার ৪.৩০টাই প্রশিক্ষনটি সমাপ্ত ঘোষনা করেন।
৩ জন প্রশিক্ষণার্থীর মন্তব্য:- ০১ )অনুপমপুর গ্রামের সজিব হোসেন জানান, তিনি একজন গরুর খামারি। বাড়ির কাজের পাশাপাশি গরু পালন করেন। তবে গরু পালন বিষয়ে তার কোন প্রশিক্ষণ নেই। এই প্রশিক্ষণ থেকে অনেক কিছুই জানতে পেলেছেন। একই সাথে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্মার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ২). মোস্তবপুর গ্রামে আব্দুস সাত্তার জানান, তিনি প্রশিক্ষণে মনোযোগ দিয়ে অংশ নিয়েছেন। বিশেষ করে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা যে কথা গুলো বলেছেন তার জন্য অনেক উপকার হয়েছেন। তিনি জানান, আমি নিয়মিত গরুকে ভাত খাইতে দিই। আসলে ভাত গরুর জন্য তেমন কাজে আসে না। আজ জানলাম গরুকে বেশি পরিমান কাচা ঘাষ খেতে দিতে হবে । নিয়মিত গরুকে কৃমি ওসুধ খেতে দিতে হবে। আজকের প্রশিক্ষণ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ৩.আড়–য়াশলুয়া গ্রমের জাকিয়া খাতুন জানান, তিনি এর আগে এরকম প্রশিক্ষণ আর পান নি। সরাসরি উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা তাদের এলাকায় উপস্থিত হয়ে গবাদি পশু বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। গরু রোগ বালাই, খাবার সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এতে তিনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। প্রশিক্ষনের অর্জন: এই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কৃষকরা আধুনিক ভাবে পশুপালনের বিষয়ে অবগত হয়। পশুর রোগ নির্নয় ও প্রতিকারের বিষয়ে শুইপষ্ট ধারনা পাই। প্রশিক্ষণের চ্যালেঞ্জ: অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারীদের কোন যাতায়াত বিল না থাকায় তারা দাবি করেন। এছাড়াও যাতায়াত বিল না থাকায় গ্রাম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post